আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
বর্ষা আসব আসব করেও
আসছে না
জমাটবাঁধা মেঘ বুকে
নিয়ে গোমড়ামুখো আকাশ
স্বতঃস্ফূর্ত বর্ষণ
নেই, শুধু
মাঝে মাঝে চোখের
জলের মত
গড়িয়ে পড়া দু-এক
ফোঁটা মুক্তো।
বৃষ্টি আমায় মাতাল
করে
মনে নেশা ধরায়,
চোখে রঙ দেয়
অনেকদিন আগে দেখা
সেই মেয়েটাকে মনে পড়ে
বৃষ্টি মেখে হাততালি
দিয়ে উঠেছিল।
জলখেলা ভালবাসত
মেয়েটা
সারা শরীরে জল ছড়িয়ে
হেসে উঠত খিলখিল করে
তার সাথে বর্ষাস্নাত
হয়েছি কতবার
হাতে হাত রেখে কতবার
বলেছি -
আয় বৃষ্টি
ঝেঁপে.......
বৃষ্টির প্রত্যেকটা
ফোঁটা সে উপভোগ করত
তার অনুভূতিপ্রবণ
সারা অঙ্গ দিয়ে,
এক একটা ফোঁটা এসে
পড়ত
তার শরীরের এক এক
অংশে
আর সে শিউরে শিউরে
উঠতো, যেন
কোনো পুরুষের গোপন
স্পর্শ,
যেন কেউ তৃষিত ঠোঁটে
আদর করছে তাকে!
বর্ষা লাবণ্যময়ী
হোতো তার বিভঙ্গে,
তার ব্রীড়াবনত তনুর
সৌকর্যে
শ্রাবণ উন্মাদ হোতো
বিপুল বর্ষণে
আমি দেখতাম,
মাতাল হতাম, আর বলতাম -
আয় বৃষ্টি
ঝেঁপে........
এমন দীন বর্ষণ
ভাললাগে না আমার
উন্মত্ত বর্ষণ চাই
এখন
বিরামহীন,
অবিশ্রান্ত, শুধু ঝরবে আর ঝরবে
ধুয়ে দেবে সমস্ত
মালিন্য, সমস্ত ক্লেদ,
মেয়েটা আবার হেসে
উঠবে খিলখিল করে।
সেদিনের সে,
এখন পরিপূর্ণ নারী
প্রস্তুত হয়েছে নতুন
সাজে
নাচবে বলে,
হাততালি দেবে বলে,
এখন কি তোর কৃপণ
হওয়া মানায়!!
আয় না বৃষ্টি,
ঝেঁপে.........
ভালো..
ReplyDelete