বিব্রতকর স্মৃতি
নিস্তব্ধ মাঠে হাত
ধরে হাঁটে নাচে গায় মায়াবিনী
যেন হাত ধরাধরি করে
হাঁটে একালের প্রেতপুরীর কুহক-কুহকিনী
অলৌকিক সম্ভাষণ
জাগে--
যেন নদীটিও মুগ্ধ
সরল রেখার মতো বয়ে যায় অশোকের বনে নিরালায়
অলৌকিক হাওয়ায় ধবল ওড়না ওড়ে কিউপিড ডানায়
যারা প্রতিদিন
জ্যোত্সনাকে ধরবে বলে অলকের পুলকে
দেখে;
হেঁটে আসে সুলতান নতুন সালতানাতে,
হেরেমের কঙ্কবাঈ নাচে
খলখল হাসে মসৃন ঠোঁট
কতকাল পড়ে আছে ছোঁয়নি পুরুষ
কেবল কোনো একদিন
আসবে এই মন্ত্র দিয়ে যায় জাঁদরেল মাসি
তবু
লোকে বলে প্রেত আর
প্রেতিনীরা কামের গন্ধে বাসনার চুলে
উড়ায় জোনাকি,
তারা ভাল প্রেমিক ছিল এখন পোকা আগুনের তাপে
জ্বলে
তারা দেখেনি কিছু,
কিছুই তাদের হয় না আর দেখা
প্রেতের পায়ের ঘুঙুর
- মায়া; এক কুহকিনীর উল্লাস
হুরপরী তুলতুলে
অপ্সরী পাখাঅলা মোমগলা
ভ্রু যেন কামনার
রঙধনু আঁকা
আপেল স্তন গলে পড়ে
লগ্নহয় চোখের সীমায়
কত কামনারাঙা রক্ত
প্রহ্লাদ নাচে
তাদের ছড়ানো পা
বাঁকানো শরীর এখনও নৃত্যকরে হুরিদের লোভে, তারা
মৃত সবুজ ঘাসে
নৃত্যের রূপ বদলায়
একটা ফ্রিজ শটে দূরে
ও কাছে দুরকম মনে হয়
এই নদীটির তীরে এই
মাঠের কিনারে প্রতিদিন জোছনা ও আঁধার নামে
একটা সরল রেখা একা
একা ভেদ করে
কারো কারো বুক
স্মৃতি গলে কান্না হয়, তবু
স্বীকার করতে পারে না
আর-
ভালো লাগা!
ReplyDelete(সিয়ামুল হায়াত সৈকত)